বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক :
দেশের বিরোধীদল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই এক মাস ধরেি তিনি ঢাকায় তাঁর গুলশানের বাসভবনে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
তাঁর বোন সেলিমা ইসলাম বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনি সহ পরিবারের দু’জন সদস্য, একজন গৃহকর্মী এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছাড়া আর কাউকে মিসেস জিয়ার ব Maya যেতে দেয়া হচ্ছে না।
বিএনপি নেতারা বলেছেন, পারিবারিক পরিবেশে খালেদা জিয়া এখন মানসিকভাবে স্বস্তিতে থাকলেও তাঁর আথ্রাইটিস ও ডায়াবেটিস সহ জটিল সব রোগের বিষয় বিবেচনা করে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহ বিশ্ব পরিস্থিতিতে সতর্কতা হিসেবে তাঁকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
দুর্নীতির দু’টি মামলায় সরকারের নির্বাহী আদেশে বিএনপি নেত্রীর সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে গত ২৫শে মার্চ তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়।
এর পরদিন থেকেই বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি দিয়ে অঘোষিত লকডাউন শুরু করা হয়েছিল করোনাভাইরাসের দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে।
তিনি মুক্তি পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে তাঁর গুলশানের বাসায় ওঠেন।
সেই থেকে ৭৫ বছর বয়স্ক বিএনপি নেত্রী চিকিৎসকের পরামর্শে বাসার দোতলায় কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সেখানে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলামসহ পরিবারের দু’জন সদস্য পালাক্রমে গিয়ে তাঁর দেখাশোনা করছেন। এর বাইরে শুধু ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা যেতে পারছেন।
সেলিমা ইসলাম বলেছেন, ডায়াবেটিস এবং আথ্রারাইটিসসহ আগের জটিল রোগগুলোর কোন উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে এখনও কোয়রেন্টিনে রাখা হয়েছে।
“বাসায় ডাক্তাররা এসে চিকিৎসা দিচ্ছে তাঁকে। সে অনুযায়ী চিকিৎসা হচ্ছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার এখনও তেমন কোন উন্নতি হয় নাই।
”যে কারণে সে কোথাও বের হচ্ছে না এবং তাঁর কাছে কাউকে অ্যালাউ করা হচ্ছে না। সে কোয়রেন্টিনে আছে এখনও,” বলছেন সেলিমা ইসলাম।
সেলিমা ইসলাম আরও বলেছেন, “কেবলমাত্র সন্ধ্যায় মাগরিবের পর আমি যাচ্ছি। আমি তাঁর বোন। আমি যাই সন্ধ্যায়। তখন তাঁর সাথে আমি কথা বলি এবং তাঁকে দেখাশোনা করি। আর সকালে আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী গিয়ে দেখাশোনা করেন। আর গৃহপরিচারিকা ফাতেমা তো সর্বক্ষণিক দেখাশোনা করছে। এর বাইরে কাউকে যেতে দিচ্ছি না।”
তিনি জানিয়েছেন, কোয়ারেন্টিনে খালেদা জিয়া তাঁর দু’জন পুত্রবধু এবং নাতনীদের সাথে টেলিফোনে নিয়মিত কথা বলছেন। এছাড়া তিনি নিয়মিত নামাজ পড়েন এবং টেলিভিশন দেখে ও বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন।
এখন খালেদা জিয়া রোজা রাখতে আগ্রহী এবং সেজন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।